উপজেলা মৎস্য অফিস
যে কোন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
২৮-১২-২০২৪ ০৫:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৮-১২-২০২৪ ০৫:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন
মো. আমিনুল ইসলাম
উপজেলা মৎস্য অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রম ও অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের আমন্ত্রণ কিংবা তথ্য জানানো সম্ভব না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মী ওই কর্মকর্তার কাছে হালদা নদীতে অভিযান এবং উন্নয়ন ও ব্যবস্থা প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে এ কথা জানান। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের অভিযোগ, ৩৩তম বিসিএস ব্যাচের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম তিনমাস আগে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি উপজেলার নির্দিষ্ট গণমাধ্যম কর্মীদের মৎস্য অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রমে আমন্ত্রণ জানালেও প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকার কর্মীদের অজ্ঞাত কারণে অবহিত করেন না।
এরমধ্যে গত ১৯ ডিসেম্বর হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদার্শা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে মৎস্য অধিদপ্তরের অর্থায়নে হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থা প্রকল্প (২য় পর্যায়ে) আয়োজিত সেমিনারে প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকার কর্মীদের অবহিত করেননি । এছাড়া হালদা নদীর হাটহাজারী অংশে উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা নানান অভিযান, 'ঘেরা ভাসা জাল' জব্দসহ অন্যান্য কার্যক্রম, পরিসংখ্যাণ সংক্রান্ত তথ্য নির্দিষ্ট কিছু সংবাদকর্মীদের দিয়ে থাকেন। নামসর্বস্ব এসব গণমাধ্যমের সংবাদ সম্পর্কে সাধারণ মানুষ জানতে পারে না। এসব নামসর্বস্ব গণমাধ্যম মাধ্যম ছাড়া জনপ্রিয় কিংবা প্রথমসারির কোনো গণমাধ্যমকে তারা জানাতে চান না।
বিষয়টির সত্যতা জানতে চাইলে মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম তির্যক ভাষায় এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি কেন আপনাদের তথ্য দিব। আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন না? পরবর্তীতে গত ১৯ তারিখের হালদা নদীর উন্নয়ন ও ব্যবস্থা প্রকল্পের অনুষ্ঠানে প্রথম শ্রেণির কোনো গণমাধ্যমকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি- এমনটা জানালে তিনি বলেন, উপজেলা মৎস্য অফিসের প্রোগ্রামে গণমাধ্যমকর্মীদের বলা সম্ভব না।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের ব্যাপারে তিনি এভাবে বলতে পারেন না। মৎস্য অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক বিষয়টি তিনি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছেন। মো. আনোয়ার হোসেন জানান।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স